তুহিন মাহমুদ (ইউরোপ,ব্যুরো প্রধান) প্রতিভা ছাইচাপা আগুনের মত যেখানেই থাকুক না কেন সুযোগ পেলে জ্বলে উঠবেই।এটি তাঁর স্বভাবজাত ধর্ম।হোক দেশ অথবা বিদেশ আপন মহিমায় উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।ঠিক তেমনি একজন বাংলাদেশি তরুণী হৃদিতা খান এবার England এর langdon Academy থেকে জিসিএসই ২০১৭ পরীক্ষায় মেধাতালিকায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন।৯টি এ স্টার,১টি এ ডাবল স্টার,দুটি এ পেয়ে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেন।
গত বছর ২০১৬ সালে একই একাডেমী থেকে বছরের সেরা স্কুল ছাত্রী গৌঁরব অজর্ন করে শিরোপা ছিনিয়ে নেন।প্রতিটি বিষয়ই অভূতপূর্ব সাফল্যপূর্ণ অজর্ন তাঁকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দ্বার উন্মোচিত করে।সাফল্য যেন বার বার তাঁকে হাতছানি দিয়ে ডাকে।কিন্তু এই হাতছানি দিয়ে ডাকার পিছনে রয়েছে বহুমূখী প্রতিভার খন্ড খন্ড অর্জন! আর এই অর্জনই তাঁকে পৌঁছেদেয় সাফল্যের শিখরে।তিনি শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই নয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে একাডেমীর প্রথম শিরোপা অর্জন করেন।খেলা-ধূলা,গান-বাজনা,পড়া-শুনা প্রতিটি ক্ষেত্রেই চমক দেখিয়েছেন শিশুকাল থেকেই।
ইতালীর রোম শহরে ২০০১ সালে ১৯ ফেব্রুয়ারী জন্মগ্রহণ করেন।তিন বোনের মধ্যে হৃদিতা খান সবার বড়।বাবার ভালোবাসা আর মায়ের স্নেহ,মমতার অনুশাসনে বেড়ে উঠেছেন এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। শৈশব কেটেছে রোম শহরে সেখানেও তিনি খেলা-ধূলা ও সঙ্গীত চর্চা অব্যাহত রেখে বিভিন্ন টেলিভিশন সঙ্গীত পরিবেশন করে সকলের মন জয় করে নেন।স্কুলেও তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পরে। বরাবরই ভালো রেজাল্ট করে শিক্ষক মন্ডলির দৃস্টি আর্কষন করেছেন।
কৈশরের প্রথম ধাঁপ শুরু হয় লন্ডন শহরের স্কুল থেকে একই স্কুলে তাঁর আরও দুটি বোন পড়া-শুনা করছে আয়শা ও ফাতিমা তারাও বোনের মত ভালো পড়া-শুনা করে স্কুলেও খ্যাতি অর্জন করছেন।
বাবা আমিন খান তিনিও একজন স্বনামধন্য শিল্পী, বিভিন্ন টেলিভিশনে গান পরিবেশন করে বাঙ্গালীর হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।মূলত বাবার আর্দশ নিয়েই তাঁর পথচলা। সঙ্গীত জগতে বাবা আমিন খানের হাতে খড়ি! তিনিই শিক্ষা গুরু, ধীরে ধীরে মেয়েকে একজন খাঁটি শিল্পী হিসেবে গড়ে তুলেছন। চ্যানেল আই সেরাকন্ঠ ২০১৬ (ইউকে) প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার্স আপ বিজয়ের মাধ্যমে শিরোপা অর্জন করে নেন।ইংল্যান্ড সহ সারা ইউরোপে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।
প্রবাসের মাটিতে বেড়ে উঠলেও তার চিন্তা-চেতনা, মস্তিষ্কও মনন জুড়ে রয়েছে দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও মমত্ববোধ।তারই উজ্জ্বল স্বাক্ষর বহন করে দেশীয় সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে বিদেশের মাটিতেও বাঙ্গালী সংস্কৃতি নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বাঙ্গালী জাতীসত্ত্বা বিকাশে নিজস্ব স্বকীয়তায় বিশ্বসমাজে বাঙ্গালী সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিয়ে আরও সমৃদ্ধ ও উন্নত করে চলেছেন। এটি একটি বিরল ও অসাধ্য কাজ।তবুও হৃদিতা খান দেশপ্রেমে উদ্ভাসিত হয়ে অনাগত ভবিষ্যতের মাঝে প্রবাসের মাটিতে নিজস্ব সংস্কৃতির গোড়া,শক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন।আর এই কাজের পেছনে উৎস,প্রেরণা, শক্তি ও সাহস যুগিয়েছেন রত্নগর্ভা মা ইসমত আরা।
হৃদিতা একদিন বিশ্বসমাজের আলোকিত মঞ্চে বিজয়ী পতাকা হাতে দাঁড়াবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণই যেন অপেক্ষামান।